Home › Forums › রেসিপি › ৬ মাসের বাচ্চার জন্য খিচুরী › Reply To: ৬ মাসের বাচ্চার জন্য খিচুরী
ছয় মাস নিবিড়ভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরে যখন শিশুকে নতুন খাবার এর সাথে পরিচয় করানো হয় তন্মধ্যে খিচুড়ি অন্যতম। তারপর ও একেবারে শুরু তেই এটি না দেয়া ভালো।
সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় শিশুর খাবার হিসেবে বুকের দুধের পাশাপাশি একটু পাতলা করে (যার ঘনত্ব বুকের দুধের থেকে কিছুটা ঘন হবে) দুধ-সুজি রান্না করে / হোমমেইড সেরেলাক তেরি করে শিশুকে দেয়া যেতে পারে । এসময় যেকোন নতুন খাবার শুরু করলে তার স্বাদ শিশু কে পরিচিত করাতে সেই খাবারটা অন্তত ২-৩ দিন একই সময়ে প্রদান করা উচিৎ। এছাড়া সিদ্ধ আলু চটকিয়ে দিতে পারেন, ফলের মধ্যে বেছে নিতে পারেন নরম পাকা পেঁপে / পাকা কলা । তবে শিশুর এক বছর পূর্ন হবার আগে সাইট্রাস ফল দেয়া যাবেনা।
একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই, অনেক অভিভাবকগন শিশুর জন্য খিচুড়ি রান্নায় শুরুতেই প্রায় সব ধরনের ডাল, মাছ, মাংস, ডিম, শাক-সবজি মিশিয়ে পুষ্টিগুন বাড়াতে চান, যা অবশ্যই পুষ্টিকর কিন্তু প্রথম সলিড হিসবে এত সব কিছু মিক্সড করে দেয়া ঠিক নয়। এর ফলে শিশুর হজমে সমস্যা হয়ে পেটে গ্যাস হয়।
তাই, এবয়সী শিশুদের খিচুড়ি রেসিপি যেমন হবে তা দেয়া হল-
উপকরণ সমূহ:
১. চাল (পোলাওর চাল হতে পারে)- ১ টে. চা.
২. মুগ / মসুর ডাল – ১/২ টে. চা
৩. সয়াবিন তেল – ১/২ টে. চা
৪. যেকোন ১ ধরনের সব্জি ( পেপে/ আলু/ কাচা কলা)
৫. মাছ ( শিং /মাগুর) বা মুরগীর মাংস – ১ টুকরা।
৬. লবন সামান্য পরিমাণ ও পানি প্রায় ৫০০ মিলি।
উপরোক্ত উপকরনগুলো হালকা ভেজে নিয়ে পানি দিয়ে সম্পূর্ণ সুসিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে, যা পরে ডালঘুটনি দিয়ে ঘুটে নামিয়ে নিয়ে শিশুকে পরিবেশন করুন।
( বি. দ্র: ৬-৯ মাস বয়সী শিশুদের রান্নায় শাক দেয়া যাবেনা ফলে শিশুর হজমে সমস্যা হতে পারে , ১০ মাস বয়স এর পরে খিচুড়ি রান্না করার সময় শাক যোগ করলে ভাল. )